ad720-90

হার্ডড্রাইভ ঠিক আছে কি না বুঝবেন যেভাবে


এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভ।প্রযুক্তিনির্ভর এ দুনিয়ায় অনেকেই তাদের প্রিয় ছবি, ভিডিও, গেম সফটওয়্যার দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চান। দিন দিন তথ্য বাড়তে থাকে এবং ল্যাপটপ বা পিসির জায়গা শেষ হয়ে যায়। এতে অনেকেই এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক ড্রাইভের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মতো হার্ডডিস্কেরও আয়ু থাকে। কম্পিউটারের ইন্টারনাল স্টোরেজের আয়ু সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছর ধরা হয় আর এক্সটারনাল হার্ডডিস্কের আয়ু ধরা হয় ৩ থেকে ৫ বছর। তবে আয়ুর বিষয়টি তাপমাত্রার ওঠানামা, আর্দ্রতা ও নানা বাহ্যিক অবস্থার ওপরেও নির্ভর করে। এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভ সহজে বহনযোগ্য বলে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। এতে এর আয়ু কমে যায়। হার্ডড্রাইভের আয়ু কীভাবে ধীরে ধীরে কমে যায়, তা জেনে নিন:

১. কম্পিউটার গতি কমতে থাকলে এবং কম্পিউটার বারবার হ্যাং হতে শুরু করলে বা ব্লু স্ক্রিন অব ডেথ দেখালে বুঝবেন আপনার হার্ডড্রাইভ শেষের পথে। এগুলো হার্ডড্রাইভের কার্যক্ষমতা কমার সম্ভাব্য লক্ষণ। এ ধরনের সমস্যা হয়তো সব সময় দেখবেন না, কিন্তু উইন্ডোজ সেফ মোড বা নতুন করে ইনস্টলেশন দেওয়ার সময় যদি এ ধরনের সমস্যা দেখেন, তবে বুঝবেন হার্ডড্রাইভ ঠিকমতো কাজ করছে না।

২. হার্ডড্রাইভ অকার্যকর হওয়ার আরেকটি সম্ভাব্য লক্ষণ হতে পারে ফাইল না খোলা এবং কোনো কারণ ছাড়াই ফাইল গায়েব হয়ে যাওয়া বা ফাইল করাপ্ট হয়ে যাওয়া।

৩. যদি খুব বেশি ব্যাড সেক্টর দেখতে পান, তবে বুঝবেন হার্ডড্রাইভের অবস্থা শোচনীয়। ব্যাড সেক্টর হচ্ছে হার্ডড্রাইভের ত্রুটিপূর্ণ এলাকা, যে এলাকাগুলো ডেটা রিড বা রাইট করার অনুরোধ পেলেও সাড়া দেয় না। বড় আকারের ডিস্ক ব্যবহার করা হলে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন। উইন্ডোজে এসব ব্যাড সেক্টর পরীক্ষা করতে মাই পিসি থেকে ড্রাইভ পার্টিশন অংশে যেতে হবে। মাই পিসিতে রাইট ক্লিক করে প্রপার্টিজে আগে যেতে হবে। এরপর টুলস থেকে এরর চেকিংয়ে ক্লিক করতে হবে। অপটিমাইজেশন করতে অপটিমাইজ অ্যান্ড ডিফ্র্যাগমেন্ট ড্রাইভ করা যাবে।

৪. হার্ডড্রাইভ থেকে যদি একই শব্দ বারবার শোনা যায় বা কোনো কিছু গুঁড়ো করার মতো শব্দ আসতে থাকে, তবে হার্ডড্রাইভ প্রায় শেষের পথে। বারবার শব্দ আসার বিষয়টিকে ‘ক্লিক অব ডেথ’ বলা হয়। কোনো কিছু রাইট করতে বা এরর ঠিক করার প্রক্রিয়ার সময় এ শব্দ তৈরি হয়।

অনেকেই হার্ডড্রাইভ হঠাৎ নষ্ট হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন না। তাই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যাকআপ রাখা জরুরি। চাইলে পুরোনো হার্ডড্রাইভের তথ্য নতুন করে আরেকটি হার্ডড্রাইভে সংরক্ষণ করতে পারেন। এতে তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। এর বাইরে গুগল ড্রাইভ, ওয়ান ড্রাইভের মতো ক্লাউড সার্ভিসেও তথ্য রেখে দিতে পারেন। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar