মিশরে ইন্টারনেট ব্যবহারে কড়াকড়ি
নতুন
‘সাইবার অপরাধ’ আইনে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বা অর্থনীতির জন্য হুমকি এমন ওয়েবসাইটগুলো
ব্লক করা হবে– খবর বিবিসি’র।
এই
ধরনের সাইটগুলো চালানো বা ব্রাউজ করায় কাউকে দোষী পাওয়া গেলে তাকে জেল বা জরিমানা করা
হবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ
জানায়, অস্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে নতুন এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরী ছিলো।
তবে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সরকার দেশটিতে বিরোধীদলীয় রাজনীতি পুরোপুরি শেষ করতে
চাচ্ছে।
কায়রোভিত্তিক
অ্যাসোসিয়েশন অফ ফ্রিডম অফ থট অ্যান্ড এক্সপ্রেশন জানিয়েছে, নতুন আইন চালুর পর ইতোমধ্যেই
৫০০ এর বেশি ওয়েবসাইট ব্লক করা হয়েছে দেশটিতে।
আগের
মাসে আরেকটি প্রস্তাবনা আনা হয়েছে দেশটির সংসদে। ওই প্রস্তাবনায় বলা হয়, যেকোনো সামাজিক
মাধ্যম অ্যাকাউন্টে পাঁচ হাজারের বেশী অনুসারি থাকলে তা নজরদারিতে আনা হবে। এখন পর্যন্ত
এটির অনুমোদন দেননি প্রেসিডেন্ট সিসি।
মিশরের
সড়কে প্রতিবাদ জানানো ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। ফলে ইন্টারনেটই এখন একমাত্র
মাধ্যম যেখানে প্রতিবাদ জানাতে পারেন দেশটির নাগরিকরা।
সন্ত্রাসবিরোধী
এবং জরুরী অবস্থার আইন ব্যবহার করে দেশটির সাংবাদিক, সক্রিয় কর্মী এবং সমালোচকদেরকে
বিরুদ্ধে অহেতুক মামলা করায় আগের মাসে সতর্ক বার্তা দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
Comments
So empty here ... leave a comment!