ঘুম পেলেই কফি দিয়ে যাবে ড্রোন?
এই
পেটেন্টে এমন এক ড্রোনের কথা বলা হয়েছে যা অফিসের কোনো কর্মী ‘কগনিটিভ স্টেট’-এ চলে
গিয়েছেন কিনা তা শনাক্ত করে ‘নাটাই থেকে সুতা ছাড়ার মতো’ তার ছেড়ে ওই কর্মীর কাছে কফির
কাপ পৌঁছে দেবে। কেউ অবচেতন মনে চলে গেলে বা কাজ থেকে অন্য কোনো ভাবনা এসে মনযোগ নষ্ট
করলে বা চিন্তা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হলে এমন মানসিক অবস্থাকে বোঝাতে ‘কগনিটিভ স্টেট’
শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
অদূর
ভবিষ্যতে আনার উদ্দেশ্য না থাকলেও বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো হরহামেশাই
পেটেন্ট করে থাকে। এই কফি ড্রোন উৎপাদন নিয়েও নিজেদের আদৌ কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা
তা নিয়ে আইবিএম কিছু জানায়নি বলে উল্লেখ করা হয় বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্রে
এই পেটেন্টের আবেদন করা হয়েছে যেখানে এই প্রক্রিয়ার জন্য হাজার হাজার ডলার খরচ হতে
পারে। এতে পানীয় সরবরাহকারী বিভিন্ন ধরনের ড্রোনের কথা বলা হয়েছে। একটি উদাহরণে কর্মীর
মগে ড্রোন থেকে সরাসরি কফি ঢালার কথাও উল্লেখ করা হয়।
ছবি- আইবিএম
আরেকটি
উদাহরণে বলা হয়, গরম পানীয় একটি সিল করা ব্যাগে করে সরবরাহ করা হবে যাতে গরম ফোটা পড়ে
কিছু পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকে।
এই
ড্রোনে রক্তচাপ, চোখের মণি বড় হয়ে যাওরা আর মুখভঙ্গি শনাক্তকারী প্রযুক্তি রাখা হতে
পারে যার মাধ্যম ড্রোনটি কারও ঘুম পেয়েছে কিনা তা বুঝতে পারবে।
এছাড়াও
অফিসে কাজ করতে থাকা লোকেরা হাতের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেও কফি চাইতে পারবেন।
Comments
So empty here ... leave a comment!