আয়োডিনের উৎস ও উপকারিতা
থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য যে খনিজ উপাদানটি অত্যাবশ্যকীয় তা হচ্ছে আয়োডিন। শরীরের বৃদ্ধিও বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড। এছাড়াও আয়োডিনের ঘাটতির ফলে প্রেগনেন্সির সময়ে এবং শিশুর জন্মের সময়ও জিটিলতা দেখা দিতে পারে। একজন মানুষের দৈনিক ১৫০ মাইক্রোগ্রাম আয়োডিন গ্রহণ করা উচিৎ।
আয়োডিনের উৎস:
১। প্রাণিজ উৎস যেমন-সামুদ্রিক মাছ (তাজা/শুটকি)
২। প্রাকৃতিক উৎস যেমন-সামুদ্রিক আগাছা
৩। আয়োডিন মিশ্রিত খাবার লবণ
এছাড়াও যেসব এলাকায় মাটিতে আয়োডিন আছে সেসব এলাকায় সবজিতেও পাওয়া যায়।
আয়োডিনের উপকারিতা:
১। থাইরক্সিন নামক হরমোন তৈরীর জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
২। শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
৩। মানব দেহে যে কোন রাসায়নিক পরিবর্তনে জন্য সাহায্য করে।
৪। গ্রহণকৃত খাবার হজমশক্তি, আত্মীকরন, শোষণ, সংগ্রহণ ও মল নিঃসরণ সহয়তা করে।
৫। শরীরে তাপমাত্রা রক্ষা করে।
৬। শরীরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পুষ্টি উপাদান পৌছায়।
৭। শরীরের জোড়া অংশ নড়াচড়ায় জন্য সাহায্য করে।
৮। শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করে দেয়।
আয়োডিনের অভাবে কি হয়ঃ
শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি দেখা দিলে প্রয়োজনীয় থাইরোয়েড হরমোন উৎপন্ন হয় না। আয়োডিনের অভাবে যখন শরীরে পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন তৈরি হয় না তখন তাকে হাইপোথাইরয়ডিজম বলা হয়। এর ফলে আলসেমির ভাব, ঠাণ্ডা সহ্য করতে অক্ষমতা, অনিদ্রা, চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। আয়োডিনের অভাব হলে, হাইপোথাইরয়েডিজম, অটো ইমিউন ডিজিজ, গলগণ্ড ইত্যাদি সমস্যা হয়।
Comments
So empty here ... leave a comment!