ad720-90

আইফোন ব্যাটারি নিয়ে প্রচলিত পাঁচ ভুল ধারণা


ব্যাটারি
দীর্ঘস্থায়ী করতে অনেক সেটিং পরিবর্তন করে থাকেন গ্রাহক। কিন্তু সেটিংস পরিবর্তন করায়
প্রকৃত অর্থে আইফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এ নিয়ে গ্রাহকের মধ্যে রয়েছে সাধারণ
কিছু ভুল ধারণা।

আইফোনের
ব্যাটারি নিয়ে প্রচলিত পাঁচটি ভুল ধারণা তুলে ধরা হয়েছে ব্যবসা বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন
প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদনে।

ভুল ধারণা ১: যে অ্যাপগুলো ব্যবহার করা
হচ্ছে না সেগুলো ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস থেকে বন্ধ করলে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়।

আইফোনের
ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে অনেক গ্রাহকই ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসে চলা অ্যাপগুলো বন্ধ
করে থাকেন। এজন্য হোম বাটন দুইবার চেপে যে অ্যাপগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে না সেগুলো বন্ধ
করেন গ্রাহক।

গ্রাহক
মনে করেন এতে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোটা হতে পারে। গ্রাহক
যখন বন্ধ করা অ্যাপগুলো পুনরায় চালু করেন তা নতুন করে খুলতে বেশি শক্তি খরচ করে আইফোন।

অ্যাপলের
সমর্থন পাতায় বলা হয়, “আপনার শুধু তখনি কোনো অ্যাপ জোর করে বন্ধ করা উচিত যখন এটি সাড়া
দিচ্ছে না।”

ভুল ধারণা ২: সারারাত ধরে আইফোন চার্জ
দেওয়া ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর।

অনেক
গ্রাহকই মনে করেন সারারাত ধরে স্মার্টফোন চার্জ দিলে তা ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর।

পূর্বে
হয়তো বিষয়টি এমন ছিল, কিন্তু এখন তা নেই। ব্যাটারির জীবনকাল নির্ভর করে এটির ‘সাইকল
কাউন্ট’ বা ব্যাটারি কতোবার চার্জ দেওয়া হচ্ছে তার ওপর।

আইফোনসহ
আধুনিক স্মার্টফোনগুলোতে রয়েছে অ্যাডভান্সড পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। ফলে ব্যাটারি
পুরোপুরি চার্জ হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ নেওয়া বন্ধ করে দেবে। তাই ব্যাটারি
শতভাগ চার্জ হওয়ার পর চার্জার লাগিয়ে রাখলে এতে কোনো প্রভাব পড়বে না।

এক
সমর্থন নথিতে অ্যাপল জানায়, “সব রিচার্জএবল ব্যাটারিই খরুচে এবং সীমিত জীবনের, সবশেষে
এটির ধারণক্ষমতা এবং কার্যকরিতা কমবেই, তাই এগুলো পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে।”

ভুল ধারণা ৩: ২৯ মার্কিন ডলারে আইফোনের
ব্যাটারি বদলানোর ফলে নিশ্চিতভাবে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হবে।

আইফোনে
ব্যাটারি পুরানো হলে ডিভাইসের কার্যকরিতা কমিয়ে দেয় অ্যাপল, আগের বছর এমন খবর সামনে
আসার পর সমালোচনার মুখে পড়ে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ২৯
মার্কিন ডলারে পুরানো ব্যাটারি বদলানোর সুযোগ দেয় অ্যাপল।

অনেক
গ্রাহকেরই ধারণা ব্যাটারি পরিবর্তন করলেই আইফোনের ব্যাটারি সম্পর্কিত সব সমস্যার সমাধান
হবে। কিছু গ্রাহকের ক্ষেত্রে এটি ঠিক, কিন্তু সব গ্রাহকের ক্ষেত্রে না।

আগের
বছর অ্যাপল স্টোরের এক কর্মী বিজনেস ইনসাইডার-কে জানান, “আমি বলবো যেসব আইফোনের ব্যাটারি
পরিবর্তন করা হয়েছে, পরীক্ষার পর আমরা পেয়েছি এর মধ্যে ১০ শতাংশের আসলেই ব্যাটারি পরিবর্তনের
দরকার ছিল।”

ভুল ধারণা ৪: সেটিংস থেকে ওয়াই-ফাই এবং
ব্লুটুথ বন্ধ করলে সব সময়ই ব্যাটারি খরচ কমবে।

ব্লুটুথ
এবং ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির ভিত্তি হলো যখন এগুলো ব্যবহার হবে না তখন তা কোনো শক্তি খরচ
করবে না। তাই ব্যাটারি আরও কিছুক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী করতে এগুলো বন্ধ রাখার কোনো দরকার
নেই।

অন্যদিকে
অ্যাপল ওয়াচের ক্ষেত্রে যদি ব্লুটুথ বন্ধ করে রাখা হয়। এটি শুধু কাজ করা বন্ধই করবে
না ব্যাটারি আরও দ্রুত ফুরাবে।

যেসব
অঞ্চলে সেলুলার নেটওয়ার্ক দূর্বল সেখানে ব্যাটারির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এক্ষেত্রে
এয়ারপ্লেন মোড চালু করলে ব্যাটারি খরচ কমতে পারে।

আর
সেলুলার নেটওয়ার্কের চেয়ে কম শক্তি খরচ করে ওয়াই-ফাই। তাই সব সময় ওয়াই-ফাই চালু রাখার
পরামর্শ দেয় অ্যাপল।

ভুল ধারণা ৫: স্বয়ংক্রিয় ব্রাইটনেস মোড
ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর।

অনেক
গ্রাহকের ধারণা স্বয়ংক্রিয় ব্রাইটনেস মোড চালু থাকলে তা বেশী ব্যাটারি খরচ করে।

অ্যাপলের
দাবি ঠিক তার উল্টো। প্রতিষ্ঠানটি জানায় এই মোড চালু থাকলে ব্যাটারি আরও কম খরচ হয়।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar