ad720-90

লিভার সুস্থ রাখতে করণীয়


লিভার শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।লিভার গ্লুকোজ সঞ্চয় করে রাখে। শরীরে শক্তি প্রয়োজন হলে লিভার এই সঞ্চিত গ্লুকোজের মাধ্যমে শক্তি সরবরাহ করে।কিন্তু শরীরের এ অঙ্গটি সুস্থ রাখতে কি করতে হবে সে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নেই। মানব দেহের অভ্যন্তরে যে প্রত্যঙ্গগুলো সবচেয়ে বেশি কর্মঠ তার মধ্যে একটি লিভার। এর যতটা যত্ন দরকার তা প্রদান করা হয় না। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং ভুল খাবার বাছাইয়ের কারণে বরং লিভারের ক্ষতিসাধন হয়।

লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে যা করবেন:

সুষম খাদ্য গ্রহণঃ লিভার ঠিক রাখতে আপনাকে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তাই প্রতিদিন মাছ, মাংস, ফলমূল ও তাজা শাকসবজি খান। আধ রান্না কোনো কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।

নিয়মিত ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম করলে লিভারে ফ্যাট জমার সম্ভাবনা কমে যায়। ফলে এর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বজায় থাকে।

দূষণ এড়িয়ে চলুনঃ দূষণ সৃষ্টি করে এমন উপাদান লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই লিভার সুস্থ রাখতে দূষিত পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। অ্যারোসল ব্যবহারের সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

অ্যালকোহল ত্যাগঃ লিভারের জন্য অ্যালকোহল অত্যন্ত ক্ষতিকর। অ্যালকোহলের প্রভাবে লিভারের টিস্যু ধ্বংস হতে পারে এবং লিভারে ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অ্যালকোহল রয়েছে এমন সকল প্রকার পানীয় গ্রহণ করা ত্যাগ করুন।

কফি পানের অভ্যাস করুনঃ কফি লিভারের সুস্থতার জন্য ভালো। ঠিক কোন কারণে কফি পান করলে লিভারের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় তা এখনো জানা জায়নি। তবে বিষয়টির সত্যতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

শুকনো ফলঃ অনেক গবেষণাতেই শুকনো ফলের নানা গুণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু আরো কিছু গবেষণায় এগুলো লিভারের জন্যে ক্ষতিকর হিসেবে উঠে এসেছে। তবে অবশ্যই শুকনো ফল ক্যান্ডি বা এমন চিনিপূর্ণ খাবারের মতো হুমকি নয়। শুকনো ফলে উচ্চমাত্রায় ফ্রুকটোজ থাকে। এগুলো রেজিন, ফ্রুট জুস ইত্যাদি নামে পরিচিত পেয়েছে। ফ্রুকটোজ সহজে দেহে ভাঙে না। তখন তা লিভারে ফ্যাট হিসেবে জমা হতে থাকে। ইনফ্লামেশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত ফ্রুকটোজ লিভারে অস্বাভাবিকমাত্রায় ফ্যাট বৃদ্ধি করে। 

প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলুনঃ এগুলো ডেলি মিট, লাঞ্চ মিট বা স্লাইসড মিট নামেও পরিচিত। প্রিয় স্বাদের খাবার হোক কিংবা শখের বশে হোক, অনেকেই এই প্রক্রিয়াজাত মাংস পছন্দ করেন। কিন্তু এমন মাংসে থাকে প্রচুর সোডিয়াম। এর মাত্রা ভয়ংকর পর্যায়ে থাকে। এ খাবার উচ্চ রক্তচাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। লিভারে অতিরিক্ত তরলে সৃষ্টি করে। লিভার একে সামলাতে পারে না। লিভার নষ্ট হতে থাকে ধীরে ধীরে। 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar