আগামী প্রজন্মকে একুশ শতকের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
লাস্টনিউজবিডি,০৯ সেপ্টেম্বর,নিউজ ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী প্রজন্মকে একুশ শতকের উপযোগী করে গড়ে তুলতে তথা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সংশ্লিষ্ট সকলকে সমপোযুগী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী ধানমন্ডি ইউল্যাব মিলনায়তনে জাম্পার্স ফোরাম এর উদ্যোগে Julia TOT Workshop on Artificial Intelligence and Machine Learning বিষয়ক ৩দিন ব্যাপী কর্মশালার সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, টেকনো হেভেনস এর প্রধান নির্বাহী হাবিবুল্লাহ এন করিম।
মন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গত কয়েক দশকে যে গতিতে এগিয়েছে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামীতে সেভাবে এগুবেনা। আগামী দিনে আমাদের সন্তানেরা কি টুলস ব্যবহার করবে তা এখন থেকেই নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে মানুষ যে ভাষায় কথা বলুক না কেন প্রযুক্তির বদৌলতে স্মার্টফোনের মাধ্যমে কাংখিত ভাষায় তা শোনা যাবে। জুলিয়া নিয়ে বাংলাদেশের যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তারা ভাগ্যবান উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের এ খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে অবদান রাখার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিংয়ের ওপর শিক্ষা দিতে হবে।কারণ প্রোগ্রামিংয়ের চর্চাটা জন্ম থেকেই হওয়া উচিত। সরকার মনে করে, প্রাথমিক স্তর থেকে প্রোগ্রামিং শেখা বাধ্যতামূলক করা দরকার। আমাদের সন্তানেরা অনেক মেধাবী, আমরা আমাদের যে প্রজন্মকে এখন প্রাইমারি স্কুলে যেতে দেখি, তাদেরকে স্মার্টফোনের ব্যবহার শেখাতে হয় না। তাই আমরা তাদের এমন স্থানে নিয়ে যেতে চাই যেন তারা ছোট থেকেই প্রোগ্রামিং জানতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উচ্চস্তরের কম্পিউটার বিজ্ঞান বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান, তারা এই প্রোগ্রামিংয়ের বিষয়টি একটু পরিহার করেন। তিনি বলেন, তারা একটি পর্যায়ে আসার পরে তাদের মধ্যে এটি গ্রহণ করার একটি মানসিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। তাদের নিজেদের বোঝার জন্য সমস্যা হয়। এই কাজটি যদি প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করা যায় তাহলে যখন সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবে, তখন তার কাছে বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আইসিটি মন্ত্রী বলেন, প্রোগ্রামিং শিক্ষায় সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, একজন প্রোগ্রামারকে যদি বিদেশে পাঠানো যায়, তাহলে তিনি বছরে সোয়া লাখ ডলার আয় করতে পারবেন। অন্যদিকে একজন কায়িক শ্রমিকের ক্ষেত্রে মাসিক আয় ২০ হাজারের মধ্যে সীমিত। তাই সোয়া লাখ ডলারের টার্গেট করাটাই সহজ কাজ।
কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও আইটি প্রতিষ্ঠান সমূহের মোট ২৮জন প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রী ওয়ার্কশপে অংশ গ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
লাস্টনিউজবিডি/আনিছ
Comments
So empty here ... leave a comment!