ad720-90

জালিয়াতির মামলায় ইলন মাস্ক


বৃহস্পতিবার
এক টুইট বার্তায় মাস্ক বলেন, টেসলা প্রাইভেট করতে “তহবিল জোগাড়” হয়েছে।

ওই
টুইটের পরপর টেসলারর শেয়ার মূল্য বেড়ে যায়।

এসইসি’র
দাবি, তহবিল নিয়ে মিথ্যা বলছেন মাস্ক। অন্যদিকে এই মামলাকে “অহেতুক” বলেছেন টেসলা প্রধান–
খবর বিবিসি’র।

মামলার
রায়ের সবচেয়ে বাজে দিক চিন্তা করলে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুণতে হতে পারে মাস্ককে। তাকে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো পাবলিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদ থেকে নিষিদ্ধও করা হতে
পারে তাকে। এতে কেবল টেসলা নয়, স্পেসএক্স-এর প্রধান নির্বাহী হিসেবেও দিন ফুরাতে পারে
মাস্কের।

এসইসি’র
সাবেক কমিশনার ও স্ট্যানফোর্ড ল স্কুলের অধ্যাপক জোসেফ গ্রান্ডফেস্ট বলেন, “আমি মনে
করি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, একসঙ্গে মাস্ককে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা, কিন্তু সেটা টেসলা
শেয়ারধারীদের কাছে তার মূল্য নষ্ট না করে।”

“অনেকগুলো
সম্ভাব্য সমাধান রয়েছে। চরম পর্যায়ে আপনি ধারণা করতে পারেন তাকে প্রধান পণ্য কর্মকর্তার
দায়িত্ব দেওয়া এবং অন্য কাউকে প্রধান নির্বাহী করা।”

গ্রান্ডফেস্ট
আরও বলেন, “অথবা আমি যেটা বলি তার একজন ‘টুইটার ন্যানি’ রাখা দরকার, যেখানে তিনি একজন
দায়িত্ববান প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া যোগাযোগ করতে পারবেন না।”

মাস্কের
এই ঘটনাকে অন্যতম শীর্ষ মার্কিন নারী উদ্যোক্তা মার্থা স্টুয়ার্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন
গ্রান্ডফেস্ট। ২০০৪ সালে তাকে দোষী করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন
তথ্য অন্যায় ব্যবহার করে শেয়ার বাজারে বাড়তি সুবিধা আদায় করা- যাকে বাণিজ্যের ভাষায়
বলা হয় ইনসাইডার ট্রেডিং।

কারাদণ্ডের
পাশাপাশি পাঁচ বছরের জন্য তার প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের পদ থেকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হতে
রাজী হন স্টুয়ার্ট। এই সময়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্ভাবকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

মাস্কের
মামলায় কারাদণ্ডের দিকে জোর দিচ্ছে না এসইসি।

গ্রান্ডফেস্ট
বলেন, “এটা স্বীকার করে নেওয়া ভালো যে, ফালতু টুইটের দিক থেকে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র
শীর্ষে।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar