স্মার্টফোনের অতি ব্যবহার কিশোরদের অমনোযোগী করে
যেসব কিশোর-কিশোরী ঘন ঘন স্মার্টফোনসহ অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে, তারা মনোযোগ-ঘাটতি বা হাইপার অ্যাকটিভ ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) সমস্যায় পড়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে।
এডিএইচডি মস্তিষ্কের একটি ব্যাধি, যার উপসর্গের মধ্যে রয়েছে একধরনের মনোযোগহীনতা, অতিপ্রাকৃত আচরণ এবং আবেগপ্রবণতা, যা কার্যক্ষমতা ও উন্নয়নে হস্তক্ষেপ করতে পারে। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধটি জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, ভিডিও স্ট্রিমিং, টেক্সট বার্তা, গান ডাউনলোড, অনলাইন চ্যাটসহ নতুন প্রজন্মের সব ধরনের ডিজিটাল চিত্তবিক্ষেপে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাবের বিষয়টিতে আলোকপাত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যাডাম লিভেন্থালের নেতৃত্বে গবেষণাটি চালানো হয়।
লিভেন্থাল বলেছেন, এ বিষয়ে অনেক আগে গবেষণা করা হয়েছিল। তখন সামাজিক যোগাযোগের সাইট, মোবাইল ফোন, ট্যাব বা মোবাইলের অ্যাপসের অস্তিত্ব ছিল না। এখন মোবাইল প্রযুক্তি সারা দিন দ্রুত উচ্চ তীব্রতার উদ্দীপনা দিতে থাকে। আগের গবেষণার চেয়ে এখন ডিজিটাল মিডিয়ার সামনে উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে বেশি।
এ গবেষণার ফলে অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, প্রযুক্তি কোম্পানি ও চিকিৎসকেরা প্রযুক্তিপণ্যের অতিরিক্ত ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করার সুযোগ পাবেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ১০টি স্কুলে গবেষকেরা ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী চার হাজার ১০০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে গবেষণা চালান। গবেষকেরা দুই বছর ধরে শিশুদের পর্যবেক্ষণ করেন। গবেষকেরা দেখেন, যারা নিয়মিত ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছে, তাদের এডিএইচডির নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে যারা ডিজিটাল মিডিয়ায় নিয়মিত নয়, তাদের ক্ষেত্রে এডিএইচডির ঝুঁকি কম।
গবেষক লিভেন্থাল বলেন, ‘যে কিশোরেরা বেশি মাত্রায় ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে, আমরা নিশ্চিত, ভবিষ্যতে তাদের এডিএইচডি সৃষ্টি হতে পারে।’
Comments
So empty here ... leave a comment!