গতির রেকর্ড গড়লো হাইপারলুপ পড
দ্রুতগতির হাইপারলুপ ট্রানজিট সিস্টেম হচ্ছে ভবিষ্যতের যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি ধারণা। ২০১২ সালে ইলন মাস্ক-এর প্রস্তাব করেন। এতে একটি বায়ুশূন্য নলের ভেতর চুম্বকের সহায়তায় কিছু পড ভাসিয়ে রাখা হয়।
এই ভাসমান পডগুলোর মাধ্যমে মানুষ ও মালামাল ঘণ্টায় এক হাজার কিলোমিটার বেগে পর্যন্ত ভ্রমণ করানো যাবে বলে ধারণা দেন মাস্ক।
এই প্রযুক্তির উন্নয়নে কয়েক বছর ধরে প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে মাস্কের মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। টানা তিনবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে টেকনিকাল ইউনিভার্সিটি অফ মিউনিখ-এর দল।
এবার মিউনিখের দলটির পরীক্ষামূলক পড ১.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্র্যাকে ঘন্টায় ৪৫৭ কিলোমিটার গতি তুলতে পেরেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষামূলক ট্র্যাকে তাদের প্রোটোটাইপ চালাতে ক্যালিফোর্নিয়ায় জড়ো হয়েছিল দলগুলো।
প্রতিযোগিতার সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্ক।
প্রযুক্তি সাইট ভার্জকে মাস্ক বলেন, “এটা সত্যি নতুন ধারার যাতায়াত ব্যবস্থা তৈরির প্রথম সুযোগ।”
প্রতিযোগিতার শেষ রাউন্ডে মিউনিখের দলটির ‘ওয়ার হাইপারলুপ’-এর কাছে পাত্তাই পায়নি অন্যান্য দল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দল দু’টি পডের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘন্টায় যথাক্রমে ৮৮ ও ৫৫ মাইল।
এবারের প্রতিযোগিতায় নিজেদের আগের রেকর্ড ভেঙ্গেছে ওয়ার হাইপারলুপ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঘন্টায় ৩২৩ কিলোমিটার গতির রেকর্ড গড়েছিল দলটি।
আগের প্রতিযোগিতার চেয়ে এবারের প্রতিযোগিতায় কিছুটা ভিন্নতাও ছিল। এবারের পডগুলোর চালিকাশক্তি এসেছে নিজেদের পড থেকে। আগে স্পেসএক্স-এর তৈরি ‘পুশার’ দিয়ে পডগুলো চালানো হয়েছিল।
Comments
So empty here ... leave a comment!