ad720-90

মার্কিন বিদ্যুৎ খাত ‘রুশ হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে’


কমান্ড সেন্টারের কম্পিউটারগুলো সরাসরি ওয়েবে যুক্ত না থাকলেও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা ওই হ্যাকাররা নিয়ন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।

অন্যান্য সেবার সঙ্গে উপযোগিতা সেবা সরবরাহকারী ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোএ লক্ষ্য হিসেবে নেওয়ার মাধ্যমে এই সাইবার আক্রমণ সফল হয়েছে। আক্রমণে পেছনে থাকা দলটি ‘ড্রাগনফ্লাই বা এনার্জেটিক বিয়ার’ নামে পরিচিত, এই দলটি রাশিয়ায় অবস্থান করছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হ্যাকাররা “কয়েকশ আক্রান্তের” কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়েছেন আর আক্রমণ এখনও চলছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস)। 

সরবরাহকারীদের কর্পোরেট নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্থ করতে হ্যাকাররা জোরদার আক্রমণ চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো ইমেইল বা তাদেরকে দিয়ে হ্যাকড সামাজিক মাধ্যম সাইট ভিজিট করানোর মাধ্যমে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে।

হ্যাকারদলটি একবার নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যাওয়ার পর প্লান্ট আর পাওয়ার সিস্টেমগুলো কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে তারা বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ চালিয়েছে।

হ্যাকারদের অনুপ্রবেশের বিস্তার সম্পর্কে জানার পর ডিএইচএস শক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারি এই সংস্থা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সতর্কতা বাড়াতে এ নিয়ে প্রকাশ্যে বলার মতো অপ্রচলিত পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ব্রিটিশ দৈনিকটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাইকেল কারপেন্টার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, “তারা আমাদের নেটওয়ার্কগুলোতে অনুপ্রবেশ করছে আর একটি সীমাবদ্ধ বা বিস্তৃত আক্রমণের জন্য নিজেদের অবস্থান তৈরি করছে।” কারপেন্টার বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অফ পেনিসেলভেনিয়া’র একজন শিক্ষক।  

২০১৭ সালে এই আক্রমণ সম্পর্কে প্রথম জানা যায়, এরপর এ নিয়ে তদন্তে সহায়তা করেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষক রবার্ট এম লি। তিনি বলেছেন, শিল্পখাতের অবকাঠামোতে হুমকি “গুরুত্বের” সঙ্গে নিতে হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর প্রতিবেদন নিয়ে এক টুইটে তিনি বলেন, আক্রমণগুলো “আরও আগ্রাসী ও ধ্বংসাত্মক হচ্ছে”।

এই আক্রমণকে মার্কিন বিদ্যুৎ খাতকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে রুশ চেষ্টার শুরু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণ পাওয়া নিয়ে বাড়িয়ে বলার হচ্ছে বলে সমালোচনা করেছেন তিনি।

অবকাঠামোখাতে হ্যাকিং পরিচালনার অভিযোগ সবসময়ই রাশিয়া প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

২০১৫ সালে আর ২০১৬ সালে ইউক্রেইন তাদের বিদ্যুৎ খাতে দুটি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar