‘উডুক্কু গাড়ি’ দেখালো অ্যাস্টন মার্টিন
চলতি
সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ফার্নবরো এয়ারশো-তে তিন আসনের এই হাইব্রিড বৈদ্যুতিক যানটির ধারণা
উন্মোচন করে অ্যাস্টন মার্টিন। আপাতত এটি একটি ধারণা হলেও ভবিষ্যতে যাতায়াত ব্যবস্থায়
বিপ্লবী পরিবর্তন আনতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর।
ভোলান্টে
ভিশন নামের এই উডুক্কু যানটি উল্লম্বভাবে ওঠানামা করতে পারে। এটির সর্বোচ্চ গতি বলা
হয়েছে ঘন্টায় ৩২২ কিলোমিটার।
অ্যাস্টন
মার্টিন কর্মী সিমন স্প্রোউল বলেন, “এই গতিতে বার্মিংহামের কেন্দ্র থেকে লন্ডনের কেন্দ্রে
যেতে সময় লাগবে প্রায় আধা ঘন্টা।”
ইতোমধ্যেই
বৈদ্যুতিক ফ্লাইং ট্যাক্সি প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছে প্লেন নির্মাতা এয়ারবাস, উবারসহ
অনেক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান। স্টার্টআপগুলোর মধ্যে একটি গুগল সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি
পেইজের কিটি হক।
ভবিষ্যতে
বিলাসবহুল উডুক্কু যানে আধিপত্য ধরে রাখার প্রত্যাশা করছে অ্যাস্টন মার্টিন।
“স্পষ্টভাবেই
এটি একটি বিলাসবহুল বস্তু, এটি আকাশে একটি স্পোর্টস গাড়ি, তাই এর দামও এটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ
হবে, নিশ্চিতভাবেই তা সাত অঙ্কের,” বলেন স্প্রোউল।
এই
উডুক্কু যানটি তৈরিতে ইতোমধ্যে ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটি, ক্র্যানফিল্ড অ্যারোস্পেস
সলিউশনস এবং বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোলস-রয়েস এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে
অ্যাস্টন মার্টিন।
একই
অনুষ্ঠানে ভিন্ন আরেকটি উডুক্কু যানের ধারণা দেখিয়েছে রোলস-রয়েস। ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫০
মাইল বেগে চার থেকে পাঁচজন যাত্রী বহন করতে পারবে এই উডুক্কুযানটি। একবার পূর্ণ চার্জে
৫০০ মাইল দূরত্ব পাড়ি দিতে পারবে এটি।
Comments
So empty here ... leave a comment!