ad720-90

এসে গেল রঙিন এক্স-রে, আরও সহজ হবে চিকিৎসা


চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে ত্রিমাত্রিক (থ্রি ডি), রঙিন এক্স-রে’র উদ্ভাবন করলেন বিজ্ঞানীরা। বিশ বছরের গবেষণায় এল সাফল্য। সার্ন (ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ)-এর গবেষকদের কৃতিত্ব এটাও যে, তাঁরা সেই পদ্ধতিকে আরও উন্নত করতে পেরেছেন।

মূলত কণা-সন্ধানী প্রযুক্তি (পার্টিকল ট্র্যাকিং টেকনোলজি)-কে কাজে লাগিয়ে এই আবিষ্কার করেছেন সার্ন-এর বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের মতে, এই আবিষ্কারের ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশের ছবি আরও স্পষ্ট ও নির্ভুল হবে। কারণ, এই পদ্ধতিতে শরীরের কোষ, কলা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ত্রিমাত্রিক ছবি পাওয়া সম্ভব হবে। এক্স-রে’র চালু পদ্ধতিতে শুধুই দ্বিমাত্রিক (বাই ডাইমেনশনাল বা টু-ডি) ছবি পাওয়া সম্ভব হয়।

সার্ন-এর গবেষকদলের প্রধান ফিল বাটলারের দাবি, আর কোনও যন্ত্রই এত নির্ভুল ছবি তুলবে না। অধরা হিগস-বোসন কণার সন্ধান দেওয়া সার্নের বিখ্যাত লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের মাধ্যমেই এই আবিষ্কার করেছেন তাঁরা।

বিশেষ রঙিন এক্স-রে দেহের অস্থি, তরুণাস্থি ও পেশীগুলিকে আরও স্পষ্ট করে তুলে আঘাতের সঠিক উৎপাদনস্থল ও তার অবস্থা নির্ণয়ে সক্ষম হবে। শুধু তা-ই নয়, এর মাধ্যমে টিউমারের উপস্থিতিও শনাক্ত করা যাবে।

এই যন্ত্রের ব্যবহারে চিকিৎসাবিজ্ঞান অনেকটাই এগোবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন গবেষকরা। সার্নের এই প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিক ভাবে কাজে লাগাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের এক বহুজাতিক কোম্পানি। তাদের এই কাজে সাহায্য করছে ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টারবেরি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar