ad720-90

সেলফি দেখে মানুষ চেনা


সেলফিতে বুঁদ গোটা বিশ্ব। হাতে হাতে সেলফি মোবাইল, আর ঝটপট শাটারে ক্লিক। সোজা পোস্ট ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। সেই সেলফি ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে। কখনও কখনও সেলফি-প্রেমের বাড়াবাড়িতে ঘটছে দুর্ঘটনাও। কিন্তু সেলফি থামার নাম তো নেইই, উল্টে বেড়ে চলেছে। কিন্তু কেন এই সেলফির রমরমা? সেলফির পেছনে কোন মানসিক অবস্থা কাজ করে? মানুষের আচার ব্যবহার নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন, তাঁরা সেলফির পোজ দেখেই বলে দিতে পারেন, সেই মানুষটির ব্যক্তিত্ব।

পাউট বা ডাকফেস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা স্বভাবগত কারণে সেলফি তোলার সময় পাউট বা ডাকফেস করেন, তাঁরা আবেগগত দিক থেকে অস্থির প্রকৃতির হন।

চোখ যখন সরাসরি ক্যামেরার দিকে। সেলফি তোলার সময় সরাসরি ক্যামেরার দিকে যাঁরা তাকান, তাঁরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী হন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এঁদের মধ্যে থাকে নেতৃত্বের গুণ।

সেলফি তুললেই হাসিমুখ। অনেকেই সেলফি তোলার সময় না হেসে থাকতে পারেন না। নিজের অজান্তেই বেরিয়ে আসে দাঁত। এই মানুষগুলো বন্ধু হিসাবে দারুণ। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

বিচিত্র পোজ। কেউ জিভ বের করে, কেউ আবার সেলফি তোলার সময় চোখ উলটে ফেলেন। ছবিগুলো বেশ মজার খোরাক হয়। যাঁরা এভাবে ছবি তুলতে পছন্দ করেন, তাঁরা খুবই আমুদে স্বভাবের হন। বিশেষ করে জীবনটাকে উপভোগ করছেন তাঁরা।

ব্যাকগ্রাউন্ডটাই আসল। সেলফি তোলার সময় যাঁরা সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ডকে প্রাধান্য দেন, তাঁরা নিজেদের দেখাতে পছন্দ করেন না। জীবনের মানে খুঁজে নেন এই পৃথিবীর অপার সৌন্দর্যের মাঝে।

খুব কাছ থেকে সেলফি। যাঁরা এমন সেলফি তুলতে অভ্যস্ত, তাঁরা গোপনীয়তা রক্ষা করতে বেশি পছন্দ করেন।

মুখের নীচ থেকে সেলফি। এই মানুষগুলো যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন।

সবার সামনে সেলফি। যাঁরা এই পোজে সেলফি তুলতে পছন্দ করেন, তাঁরা সত্ হন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar